স্বরূপকাঠী একটি উপজেলা। বর্তমানে নাম নেছারাবাদ। নার্সারির গ্রাম বলতেই স্বরূপকাঠীর কৃষ্ণকাঠিকে বুঝায়। এছাড়াও এখানকার আকলম, মাহমুদকাঠী, অলঙ্কারকাঠী, পানাউল্লাপুর, রাহুদকাঠী সহ উপজেলার প্রায় সব গ্রামেই কিছু না কিছু ফুল,ফল ও বনজ গাছের চাষ করে থাকেন এখানকার কৃষকেরা। বলা হয়ে থাকে স্বরূপকাঠীর মাটিতে সোনা ফলে। এখানে নানা জাতের গাছের চারার জন্য এলাকাটি বিখ্যাত বহুকাল থেকে।
এদেশের বিভিন্ন স্থানে যে সব বড় বড় গাছ বেড়ে উঠেছে এবং বিশেষ করে যে সব নার্সারি বেড়ে উঠেছে তার বৃহত্তর অংকের চারার যোগান আসে স্বরূপকাঠী থেকে। বর্তমানে অবশ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক নার্সারি গড়ে উঠেছে।
শীতের মৌসুমে বাংলাদেশে বিভিন্ন ফুলের সমারোহ দেখা যায়। বর্ষাতেও ফুলের প্রাচুর্য। শিউলী ও পদ্ম মেেেল শরৎ ও হেমন্তে। প্রকৃতির কী যে বদান্যতা আমাদের সুজলা সুফলা দেশের প্রতি তা বলে শেষ করা যায় না। “ধনধান্য পুষ্পভরা”- এটাই বলা হয়ে থাকে আমাদের এ বাংলাদেশকে। চোখ মেলে তাকালে সহজেই তা ধরা পড়ে।
এখানকার নার্সারি মালিকদের একটাই দাবি সরকারি অনুদান বা সহজ শর্তে ঋণ পেলে কৃষকরা এ ব্যবসাকে আরও সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।