৯ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ রাত ১:২১
ব্রেকিং নিউজঃ
নৌকার প্রার্থীকে জয়ী করতে মহিলা শ্রমিক লীগের মতবিনিময় সভা আদিবাসী ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার “বিশ্বরেকর্ড গড়লো বাংলাদেশের গর্ব ঋতুরাজ ভৌমিক হৃদ্য” রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন মো. সাহাবুদ্দিন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বাংলাদেশ শাখার সিনিয়র সহ সভাপতি হলেন দেশ সম্পাদক সুমন হালদার বিশ্বে নেতৃত্বের ভূমিকা নিতে যাচ্ছে ভারত : হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা আজ ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী দিবস । কৃত্বিতে খ্যাতি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের একজন মুন্সী আব্দুল মাজেদঃ ঝুমন দাশের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে প্রশ্ন : এক হিন্দুকে বাদী করতে চেয়েছিলেন শাল্লার ওসি আফগানিস্থানে শিক্ষাকেন্দ্রে আত্মঘাতী হামলা : নিহত ১৯

অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি বন্ধ করুন , সম্পাদকীয়

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট টাইমঃ সোমবার, অক্টোবর ২৩, ২০১৭,
  • 684 সংবাদটি পঠিক হয়েছে

 

 দেশ নিউজ :  নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে। চাল-ডাল থেকে শুরু করে এমন কোনো খাদ্যপণ্য নেই, যার দাম বাড়েনি। সবচেয়ে বেড়েছে শাকসবজির দাম। পুঁইশাকের ছোট ছোট আঁটিও এখন ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিকোয়। বেগুনের কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কোনো সবজিই এখন ৬০-৭০ টাকার নিচে নেই। কাঁচা মরিচের দাম তো লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

কোনো কোনো বাজারে কাঁচা মরিচ তিন শ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ এখন দৈনন্দিন বাজারের চাহিদা মেটাতে গিয়ে রীতিমতো প্রমাদ গুনছে। এক বছর আগে দৈনন্দিন বাজারে যে পরিবারের মাসিক খরচ ছিল তিন হাজার টাকা, তা এখন ছয় হাজার টাকায়ও কুলোয় না। কিন্তু সেই পরিবারের আয় তো সে হারে বাড়েনি। তাই সবচেয়ে বিপদে আছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

যিনি দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করেন, তাঁর দিনের মজুরি একই আছে। ২০-৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পান যেসব চাকরিজীবী, তিনি ইচ্ছে করলেই তিন হাজার টাকার জায়গায় ছয় হাজার টাকা খরচ করতে পারেন না। বাধ্য হয়ে তাঁদের খাদ্যের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হচ্ছে। কারো কারো মাসিক বাজার খরচ অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হয়েছে। এর প্রভাব পড়ছে শরীরের ওপর। জীবনযাত্রার ওপর। অনেকে হয়তো ছেলে-মেয়েদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত করে পরিবার সামলাচ্ছেন। এই অবস্থার প্রতিকার কী?

ব্যবসায় এখন নীতি-নৈতিকতা নেই বললেই চলে। সুযোগ পেলেই কোনো না কোনো অজুহাতের কথা বলে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। যেমন এখন বলা হচ্ছে, এবার বন্যার কারণে শাকসবজির উৎপাদন কমে গেছে। তাই বেশি দামে কিনে বেশি দামেই বিক্রি করতে হয়।

ব্যবসায়ীদের এই কথাগুলো যে আদৌ সত্য নয়, প্রকাশিত প্রতিবেদনে তা উঠে এসেছে। দাম বেশি হলেও বাজারে কোনো পণ্যেরই কোনো ঘাটতি নেই। কারওয়ান বাজারে বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার সকালে পাইকারি বিক্রি হয়েছে (পাঁচ কেজির প্রতি পাল্লা হিসেবে) প্রতি কেজি বেগুন ৪৪ থেকে ৫৬ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ১২ থেকে ১৬ টাকা কেজি, কাঁচা পেঁপে ১২ থেকে ১৪ টাকা কেজি।

অথচ সেখান থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরের খুচরা বাজারে একই সময়ে সবজির দাম ছিল অনেক বেশি বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ও পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এখানে ব্যবসায় নূন্যতম সততা আছে কি? পাইকারি বিক্রেতা বা ফড়িয়ারা কৃষকদের কাছ থেকে এসব পণ্যই কিনছেন আরো কম দামে। বেগুন ২০-২৫ টাকার বেশি তো নয়ই।

পেঁপে ও কুমড়া হয়তো পাঁচ-ছয় টাকা কেজি দরে কিনেছেন। তার অর্থ, এই দাম বাড়ার কারণে কৃষকরা কোনোভাবেই লাভবান হচ্ছেন না।

খুচরা বাজারে বিক্রেতাদের লাভ ও লোভের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বাজারে তদারকিব্যবস্থা কঠোর করতে হবে। অযৌক্তিক মুনাফাকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তা না হলে দেশের বেশির ভাগ মানুষের জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ ...
© All rights Reserved © 2020
Developed By Engineerbd.net
Engineerbd-Jowfhowo
Translate »