কচুয়া উপজেলার
উত্তর কচুয়া
ইউনিয়নের নাহারা
গ্রামের সুত্রধর
বাড়িতে গত
শুক্রবার জুমআর
নামাজের সময়
সন্ত্রাসী কায়দায় প্রবাসী স্ত্রীর গলা
থেকে স্বর্নের
চেইন, কানের
ধূল ও
মোবাইল ছিনিয়ে
নিয়ে যায়।ঘটনার
সূত্রে জানা
যায়, গত
শুক্রবার জুমআর
নামাজের সময়
সুত্রধর বাড়ির
শান্তু সুত্রধরের
ঘরে সামাদ
(২১) পিতা
মোঃ সফিউল্লাহ,
সাং- তেতৈয়া,
রাস্তার পাশে
থাকা গৃহে
প্রবেশ করে
শান্তুর স্ত্রী
সুমি রানী
(২০) এর
মাথায় লাঠি
দিয়ে আঘাত
করলে মাটিত
লুঠিয়ে পড়লে
তার গলার
চেইন,কানের
ধূল,হাতের
মোবাইল ছিনিয়ে
নেয় এবং
তাকে এলোপাথাড়ি
কিল ঘুষি,লাথি মারে।
তার ডাক-চিৎকারে আশে
পাশের লোক
ছুটে এসে
চিহ্নিত সন্ত্রাসী
সামাদকে ধাওয়া
করলে সে
পালিয়ে যায়।
আহত অবস্থায় সুমি রানীকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।কর্তব্যরত ডাক্তার সোহেল রানা জানান- তার মাথায় আঘাতে প্রচন্ড রক্তপাত হয়েছে এবং মাথায় আট টা সেলাই লেগেছে।
এ ব্যাপারে কচুয়া থানায় একটি নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি চলছে।কচুয়া থানার ওসি তদন্ত শাহজাহান কামাল জানান-ঘটনাটির অভিযোগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুমি রানীর খোঁজ খবর নিয়েছি এবং ঘটনার সাথে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এসময় পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন- কচুয়া থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আল আমিন হোসেন,মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবু হানিফ।
আহত সুমি রানীর স্বামী শান্তু সুত্রধর জানায়- আমরা দুই ভাই এর মধ্যে বড় ভাই কিছুদিন পূর্বে মৃত্যু বরণ করে।বর্তমানে আমার বড় ভাইয়ের স্ত্রী আমার বাবা-মা, আমার স্ত্রী ও এক সন্তান সহ এখানে একত্রে বসবাস করে। আমি দীর্ঘ ৭ বছর যাবৎ প্রবাসে (দুবাই) থাকি।বর্তমানে বড় ভাইয়ের মৃত্যুর সংবাদ শুনে দেশে এসেছি। কিছুদিন পরে আবার প্রবাসে চলে যাবো।বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার,পরিজন নিরাপত্তাহীনতা ভুগছি।আমি এ ঘটনার ন্যায় বিচার দাবী জানাচ্ছি।
এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়- সন্ত্রাসী সামাদ এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ চুরি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। তার সাথে এলাকার প্রভাবশালীরা জড়িত আছে বলে তারা জানায়।