রাজধানীর তেজগাঁও থানার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এ পারোয়ানা জারি করেন।
অন্য দু’জন হলেন- বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) তৎকালীন প্রধান প্রতিবেদক মাহাথির ফারুকী ও বিশেষ প্রতিনিধি কণক সরওয়ার। অন্য আসামি চ্যানেলটির তৎকালীন চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জামিনে আছেন। সোমবার (২৩ অক্টোবর) মামলাটির অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আমলে নিয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালত এ পরোয়ানা জারি করেন।
আগামী ২০ নভেম্বর মামলাটির অভিযোগ (চার্জ) গঠনের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল জানান, ২০১৫ সালের ০৪ জানুয়ারি রাতে লন্ডন থেকে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার করে একুশে টেলিভিশন। পরদিন রাতে কারওয়ানবাজারের ইটিভির কার্যালয় থেকে বাসায় ফেরার পথে সালামকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
‘ইটিভিতে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল’- এ অভিযোগে ওই বছরের ০৮ জানুয়ারি দণ্ডবিধির ১২৪(এ) ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি করেন তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বোরহান উদ্দিন।
মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ইটিভির তৎকালীন চেয়ারম্যান আব্দুস সালামকে আসামি করা হয়।
২০১৬ সালের ০৩ আগস্ট চারজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ইমদাদুল হক।
চার্জশিটে বলা হয়েছে, ‘২০১৫ সালের ০৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা ও কালো’ দিবসের নামে পূর্ব লন্ডনের অট্রিয়াম অডিটোরিয়ামে যুক্তরাজ্য বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন তারেক রহমান। তারেক রহমান তার বক্তব্যে দেশের বিচার বিভাগ, প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য করেছেন, যাতে জনমনে হিংসার উদ্বেগ হয়েছে’।
এছাড়া পলাতক আসামি হিসেবে তারেক রহমানের বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার